Event Date:
Start at 11:59 AMJanuary 1, 2024
ক) নির্বাচনের গোপনীতয়তা রক্ষার্থে গোপনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গৃহীত হবে। তবে পরিস্তিতি অনুকূলে থাকলে প্রয়োজনে হাত উত্তোলনের মাধ্যমে ও ভোট গ্রহণ করা যেতে পারে। সকল ক্ষেত্রে গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করা হবে।
খ) সাধারণ পরিষদের সদস্য নয় এমন কেউ কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ এবং ভোট দিতে পারবে না।
গ) কার্যকরীপরিষদের মেয়াদ ২ (দুই) বছর শেষ হওয়ার ১ মাস পূর্বে সাধারণ পরিষদের সভা আহবান করে সংগঠনের সাথে সশ্লিষ্ট নন এমন ৩ (তিন) জন ব্যক্তিকে নিয়া ৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন বোর্ড/নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। বোর্ডের কাঠামো নিম্নরূপঃ
ঘ) নির্বাচন কমিশন ১ (এক) মাসের নোটিশে নির্বাচনী তফসীল ঘোষনা করবে এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ঙ) কোন কারণ বশতঃ নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে পূনরায় সাধারণ সভা আহবান করে, ৩/৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
চ) নির্বাচন পরিচালনার সুবিধার্থে কার্যকরী পরিষদ/ এডহক কমিটি কর্তৃক ভোটার তালিকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি নির্বাচন কমিশন/ রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিল করবে। নির্বাচন কর্তৃপক্ষ ভোটার তালিকা প্রকাশ করবেন। উল্লেখ্য যে, এডহক কমিটি গঠন করতে হলে সাধারণ পরিষদ সভায় কার্যকরী পরিষদের পদ সমূহ শূণ্য ঘোষনা করতে হবে। এডহক কমিটি সাধারণ পরিষদ সভায় ১(এক) জনকে আহবায়ক করে আরও ২ (দুই) জন সদস্য নিয়ে মোট ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে।
কার্যকরী পরিষদঃ সাধারণ সদস্যদের ভোট দ্বারা নির্বাচিত হবেন
ছ) সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নিয়ামবলী ও আচরণ বিধি প্রণয়ন করবেন যা সকলকে মেনে চলতে হবে। তফসিল ঘোষনা, নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ ও এ কার্যক্রম সম্পুন্ন করবেন।
জ) নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করার লক্ষ্যে সংগঠনের বর্তমান কার্যকরী পরিষদ বা এডহক কমিটি নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য থাকবে। প্রয়োজনে সাধারন পরিষদের সহায়তায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
ঝ) কার্যকরী পরিদের কোন পদে ২(দুই) বা ততোধিন প্রার্থী সমান সংখ্যাক ভোট পেলে লটারীর মাধ্যমে ফয়সালা করতে হবে।
ঞ) নির্বাচন কমিশন যথারীতিতে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার সংগে সংগে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা করবেন।
ট) পুরাতন কমিটি নির্বাচন শেষ হওয়ার ৭(সাত) দিনের মধ্যে নতুন কমিটিকে সকল প্রকার হিসাব নিকাশ, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি এবং দায়িত্বভার বুঝে দিতে বাধ্য থাকবে।
ঠ) নতুন কমিটিকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে যথা নিয়মে নির্বাচনী ফলাফল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি লিখিত ভাবে দাখিল পূর্বক আবেদন করে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমোদন নিতে হবে। নিবন্ধন কর্তৃক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর উক্ত কার্যকরী পরিষদ কার্যকর হবে।
ড) নির্বাচনে কোন জটিলতা দেখা দিলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ সর্বাধিক বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবেন এবং নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ যে কোন সিদ্ধান- গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাবতীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।
উল্লেখ্য যে, নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া আরম্ভ করার পর হতে ফলাফল ঘোষনা পর্যন্ত-যাবতীয় বিষয়াদি ও সিদ্ধান- সমূহ স্থানীয় সমাজসেবা বিভাগ এবং নিবন্ধন কর্তপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে।
গঠনতন্ত্র সংশোধন পদ্ধতি
যদি সংস্থা কোন কার্যক্রম ধারা-উপধারা সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা সংযোজন করতে হয় তাহা হলে সাধারণ পরিষদ সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যর উপস্থিতিতে গঠনতন্ত্রের উক্ত যে কোন বিষয়ে অনুমোদনক্রমে সংযোজন, পরিবর্তন, পরিববর্ধন কিংবা সংশোধন করা যাবে। গঠনতন্ত্রের সংশোধী চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যথানিয়মে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হলে গঠনতন্ত্র সংশোধনী কার্যকর হবে।