Event Date:
Start at 11:59 AMJanuary 1, 2024
(ক) সাধারণ সভাঃ এই সভা অনুমোদিত হওয়ার কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করিয়া সভা আহবান করতে হবে। দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে।
(খ) কার্যকরী পরিষদ সভাঃ এই সভা হওয়ার কমপক্ষে ০৭ দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করে সভা আহবান করতে হবে। দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে।
(গ) জরুরী সভাঃ ২৪ ঘন্টার নোটিশে এই সভা আহবান করা যাবে। তবে সভা আহবান করার সময় সভার স্থান, তারিখ, সময় আলোচ্য বিষয় ইত্যাদি উল্লেখ্য পূর্বক নোটিশ বোর্ডে প্রদান করতে হবে এবং ব্যক্তিগত ভাবে সকল কর্মকর্তার নিকট নোটিশ প্রেরণ করতে হবে। এই প্রকার সভা সংস্থা জরুরী প্রয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী সভা সরাসরি সভাপতি নিজে ও আহবান করতে পারবে।
(ঘ) তলবী সভাঃ সংস্থা কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত স্থগিত থাকলে অথবা দীর্ঘ দিন যাবত কোন সভা আহবান করা না হলে কিংবা সংস্থা সভাপতি/মহসচিব বা কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংস্থা পক্ষে ক্ষতিকারক কোন কাজে লিপ্ত থাকলে, তাহা হলে সংস্থা সাধারণ সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে সভা আহবানের জন্য সংস্থা সভাপতি অবহিত করবেন। উক্ত আবেদনের বিষেয় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবেন। যদি ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে সংস্থা সভাপতি/মহসচিব সভা আহবান না করলে কিংবা ব্যর্থ হন তাহলে সদস্যদের যে কোন একজন আহবায়ক হইয়া তলবী সভা আহবান করতে পারবেন। সভা আহবানের বিষয়ে নিবন্ধী করণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। সংস্থা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে এই সভায় গৃহীত সিদ্ধান- চূড়ান- বলিয়া গন্য হবে। পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে গৃহীত সিদ্ধান- নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমোদন করে নিতে হবে।
উপধারা
সভার কোরামঃ কার্যকরী পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে যেমনঃ সংবিধান অনুমোদন, কিংবা সংশোধন নির্বাচন ইত্যাদি সংক্রান্ত সভায় দুই তৃতীয়াংশ সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
যদি কোরামের অভাবে সভা অনুষ্ঠিত না হয়, তাহা হলে পূনরায় সভা আহবান করতে হবে। পরপর ৩ (তিন) টি কোরামের অভাবে অনুষ্ঠিত না হলে পরবর্তী সভায় কোরামের প্রয়োজন হবে না।
সভা আহবানের সময়সূচীঃ সাধারণ পরিষদ সভা ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে, কার্যকরী পরিষদ সভা ০৭ (সাত) দিনের নোটিশে, অন্যান্য সভা ০৩ (তিন) দিনের অথবা ০৫ (পাঁচ) দিনের নোটিশে এবং জরুরী সভা ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার নোটিশে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশাসনিক নীতিমালা
ক) গঠনতন্ত্রের নিয়মাবলী লংঘন করলে কিংবা সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক নিয়ম ভঙ্গ করলে।
খ) কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করলে।
গ) সংস্থা স্বার্থে পরস্পর বিরোধী কোন কাজ কর্মে লিপ্ত থাকলে।
ঘ) দায়িত্ব ও কর্তব্য কর্মে অবহেলা নিলিপ্ততা, উদাসীনতা প্রদর্শন করলে।
ঙ) অর্থ-সম্পদ আত্নসাৎ করলে।
চ) সংস্থা বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজ করলে।
ছ) উদ্দেশ্য মূলক ভাবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকলে।
জ) চাঁদাবাজ, মাস্তান, ও দুস্কৃতিকারীদের সাথে মেলামেশা বা সম্পর্ক রাখলে বা তাদের দ্বারা হুমকি প্রদর্শন করে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করলে।